বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

Bangladesh Government Logo

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন

নগর নিরাপদ রাখতে ভবঘুরে কুকুর নিয়ন্ত্রন

প্রকাশ: ০৫ জুন, ২০২৫

বাংলাদেশেরদক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম প্রধান নগর বরিশাল। খাল, নদী আর সবুজের মেলবন্ধনেগড়া এই শহরটি ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ হলেও আধুনিক নগরজীবনেরনানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ওদীর্ঘদিনের চ্যালেঞ্জ হলো ভবঘুরে বাপোষাহীন কুকুরের উপদ্রব। যা আজ জনজীবনের স্বাভাবিকতাও নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকিহয়ে দাঁড়িয়েছে । শহরের রাস্তাঘাট, বাজার, আবাসিক এলাকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোরআশপাশে ভবঘুরে কুকুরের দল প্রতিনিয়তই জনসাধারণেরজন্য উৎকণ্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এর মধ্যে এই সমস্যা শুধুজনস্বাস্থ্যের ঝুঁকিই বাড়াচ্ছে না, বরং নাগরিকদেরচলাচল, শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া, হাসপাতালের পরিবেশ এমনকি পর্যটনের পরিবেশকেও প্রভাবিত করছে। এই প্রেক্ষাপটে বরিশালসিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) ভবঘুরে কুকুরের উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে রক্ষারজন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণকরেছে। 

বরিশালশহরের বিভিন্ন জায়গায়—বিশেষ করে নথুল্লাবাদ, বটতলা, কাশিপুর, রূপাতলী, সদর রোড এবংকলেজ রোড এলাকায় পথকুকুরের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে রাতের বেলায়এই কুকুরগুলো দলবদ্ধ হয়ে ঘোরাফেরা করে, হুঙ্কার দেয় এবং চলাচলরতমানুষ ও যানবাহনের পেছনেতাড়া করে, কখনো কামড়ে দেয়—ফলে আতঙ্ক, দুর্ঘটনা ও রোগ ছড়ানোরঝুঁকি তৈরি হয়।

প্রতিবছরবহু মানুষ কুকুরের কামড়ে আহত হন, যাদেরঅনেকেই জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ইনজেকশন নিতে বাধ্য হন।শিশু, বৃদ্ধ ও নারীরা সবচেয়েবেশি আতঙ্কিত থাকেন। শহরের ক্লিনিক ও স্কুলগুলোও এসবকুকুরের অনুপ্রবেশে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।

একসময়সিটি কর্পোরেশনগুলো রাস্তা থেকে কুকুর ধরেনিধন করার নীতি গ্রহণকরত। কিন্তু এর ফলে জলাতঙ্কবা জনস্বাস্থ্য সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি।বরং আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিবাদ হয়, এবং প্রাণিকল্যাণ সংগঠনগুলো হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে। আদালত ২০১২সালে কুকুর নিধন কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষণা করে।

বর্তমান নগর প্রশাসক মোঃ রায়হান কাওছার মহোদয় কুকুরের উপদ্রপ সহনশীল রাখতে বেশকিছু কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করে এইবিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে: “কুকুরহত্যানয়, মানবিকব্যবস্থাপনা।” তাই এখনকুকুর ধরার পর তাদেরবন্ধ্যাকরণ ও টিকাদান করেপুনরায় ছেড়ে দেওয়া হবে। জনস্বাস্থ্য, নগরপরিচ্ছন্নতাএবং নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করাই  সিটি কর্পোরেশনের অন্যতম দায়িত্ব । 

এই কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে  শহরের ৬ (ছয়) হাজার কুকুরকে র‌্যভিস ভ্যাক্সিনের আওতায় আনা। ইতিমধ্যে ৬০০০ ভাক্সিন সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রশিক্ষিত ১০ জন ভলান্টিয়ার ট্র্যাপার ও ফিল্ড টিম  সহ সিটি কর্পোরেশনের ভ্যাটেইনারী সার্জন , পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্ময় এই কার্য্ক্রম বাস্তবায়নে একাধিক টিম গঠন করা হয়েছে। আসন্য ঈদের ছুটির পরপর কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তিতে পুরুষ কুকুর বাছাই করে বন্ধাত্ব করণ কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে।